পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করলো সিবিআই। আগামী ৩১ অগাস্ট নিজাম প্যালেসে হাজিরে দিতে হবে তাঁকে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও মন্ত্রীকে তলব করলো কেন্দ্রীয় সংস্থা। রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে তলব নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে শাসক দল।
বুধবারই জানা গিয়েছিল রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু সেই সময় নাম জানা যায়নি। তবে আজ সুজিত বসুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে গত ১৭ অগাস্ট স্পীড পোস্ট মারফত হাজিরা দেওয়ার বিষয় জানিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শ্রীভূমির বাড়ির ঠিকানাতেই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। নিজাম প্যালেসের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে ৩১ অগাস্ট সকালে ১১টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার নথি খতিয়ে দেখে সুজিত বসুকে তলব করা হয়েছে। কারণ তৎকালীন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সুজিত বসু। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলেই আধিকারিকদের অনুমান।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অয়ন শীলের একাধিক সংস্থার কথা জানতে পেরেছিল ইডি। বেআইনিভাবে টাকার বিনিময়ে রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় প্রায় ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছিলেন অয়ন শীল। যার মধ্যে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। দক্ষিণ দমদম পুরসভাতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি উদ্ধার করেছিলেন আধিকারিকরা। দুর্নীতি যখন হয় তখন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ-পুরপ্রধান ছিলেন সুজিত বসু।
অয়ন শীলের সংস্থা সূত্রে ইডি জানতে পেরেছিল, পুরসভার সাফাই কর্মী, গাড়ির চালক পদের জন্য নেওয়া হতো ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি, টাইপিস্টের জন্য পরীক্ষার্থী পিছু নিতেন ৭ লক্ষ টাকা। এই সবগুলি হল ন্যূনতম মূল্য। প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে রেট বাড়ানো হতো। ইডির দাবি, ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ এই চাকরি বিক্রির কারবার শুরু করেছিলেন অয়ন শীল।
অন্যদিকে সুজিত বসু বলেন, "আমার কাছে এখনও কোনো চিঠি আসেনি। সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। তবে আমার হাতে সেইরকম চিঠি এলে আমি প্রস্তুত আছি। ৩১ তারিখ বড় কিছু না হলে আমি হাজিরা দেবো।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন