আগামী সোমবার অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে চলেছে সিবিআই। আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁরা এও জানান যে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মতোই টেট দুর্নীতি আকাশছোঁয়া।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সাথে ২২ বছর আগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের তুলনা টানলো সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে টেট মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেখানেই সিবিআই-র তরফ থেকে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বলেন, "এই রাজ্যে ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মতোই বিশাল বড়ো। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আনব। আদালতের সামনেই সবকিছু পেশ করা হবে।"
ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের এই মন্তব্যের পরেই বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেন, "শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি যদি ওয়ার্ল্ড টেড সেন্টারের মতো হয় তাহলে অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলতে হবে।"
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটির দুটি বিল্ডিং ছিল নিউইয়র্কে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই সেন্টারে হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ১১০ তলা বিল্ডিংটি। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতেও সেই ১১ সেপ্টেম্বর তারিখটি বেছে নিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে মঙ্গলবারই বিচারপতির মুখে কিছু করে দেখানোর বার্তা শোনা গেল। এজলাসে এক বিশিষ্ট আইনজীবীর সাথে কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, "আর তো ক'টা দিন। তারপর তো চলে যেতে হবে। তবে যাওয়ার আগে কিছু করে যাব।" এরপর ওই আইনজীবী বলেন 'বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক'। যার প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেন, 'বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবেই'। এই চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে বিচারপতি গাঙ্গুলি ২০২৪ সালে অবসর নেবেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা হচ্ছে ৬২ বছর এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা হলো ৬৫ বছর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন