৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে এখনও চলছে চাকরিপ্রার্থীদের 'আমরণ অনশন' বিক্ষোভ। তাঁদের একটাই দাবি, 'চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত চাই'। এরইমাঝে যখন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে 'আইনানুগ নয়' বলে দাবি করেছেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
গত মঙ্গলবার পর্ষদ সভাপতি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুজন বাবু জানান, "পর্ষদের আগের চেয়ারম্যান টাকা তুলে, লুঠ করে একেবারে লোপাট করেছেন যুবকের ভবিষ্যৎ, এটা সবাই জানে। এখনকার চেয়ারম্যান, তিনিও পিছনের দরজা দিয়ে চেয়ারম্যান পদে ঢুকেছেন। তিনি বেআইনিভাবে অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করে চোখ রাঙাচ্ছেন পরীক্ষা দিয়ে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের! কেন, এর মানে কী?"
তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকারের ৬ লক্ষ শূন্যপদ, শিক্ষায় সাড়ে ৩ লক্ষ শূন্যপদ, তার মধ্যে প্রাথমিকেই শূন্যপদ রয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার। টেট পাশ করা ছেলেমেয়ের সংখ্যা প্রায় ২২-২৫ হাজার। তাহলে নিয়োগ করতে অসুবিধা কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কি আদেও সরকার কার্যকর করবে? নাকি সেটা শুধুই ঘোষণা? ছেলেমেয়েরা তাঁদের জীবনের তাগিদে রাস্তায় আছে।
গতকাল গৌতম বাবু আরও বলেন, আগামীদিনে বোর্ড যে নিয়োগ করতে যাচ্ছে, যেনতেন প্রকারেণ সেটাকে বাধা দিয়ে এই আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার প্রচেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা জানান, ১৪ বনাম ১৭ বনাম ২০, এসব না করে শূন্যপদ কত আছে এবং তার নিয়োগ কীভাবে করবেন তার রোডম্যাপটা স্পষ্ট করুন।
অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের বিরোধিতা করে বুধবার সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করেছে পর্ষদ। তাদের দাবি, আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি কাজকর্ম। পর্ষদ ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন না কর্মীরা। তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের একজন বলেন, পর্ষদ যাওয়ার রাস্তায় প্রবেশ করার আগেই আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ। পর্ষদ অফিস থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে বিক্ষোভ মঞ্চ। বহাল তবিয়তে সেখান দিয়ে পর্ষদের লোক যাতায়াত করছে। হাসপাতাল থেকেও প্রায় ২০০ মিটার দূরে রয়েছি আমরা। কোনও যান চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে না। পর্ষদের রাস্তায় আমরা নই, বরং দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন