প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। ২ মে, বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করলেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মে। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৬ জন।
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ৮৬.৩১%। গত বছরের তুলনায় এবছর পাসের হার বেড়েছে বলেই জানিয়েছেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। জেলা ভিত্তিতে পাশের হারে প্রথম স্থানে আছে কালিম্পং, তারপর পূর্ব মেদিনীপুর।
মেধাতালিকায় জেলা গুলির দাপটে প্রায় ছিটকে গিয়েছে কলকাতা। মেধা তালিকায় এবার প্রথম দশে রয়েছে ৫৭জন পরীক্ষার্থী। সেখানে কলকাতার মাত্র এক জন। একনজরে প্রথম দশের মেধাতালিকাঃ
প্রথম হয়েছে চন্দ্রচূড় সেন। স্কুলের নাম: রামভোলা হাই স্কুল, জেলা: কোচবিহার। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৩ (৯৯ শতাংশ)।
দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয় গুরু। স্কুলের নাম: পুরুলিয়া জেলা স্কুল, জেলা পুরুলিয়া। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯২ ( ৯৮.৯৬ শতাংশ)।
তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র নৈর্ঋতরঞ্জন পালের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ (৯৮.৭১ শতাংশ)।
চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপস স্কুলের ছাত্র তপোজ্যোতি মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর (৯৮. ৫৭ শতাংশ)।
পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুলের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ বসাক। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯ (৯৮.৪৩ শতাংশ)।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চারজন পরীক্ষার্থী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮ (৯৮.২৯ শতাংশ)।
সপ্তম স্থানে রয়েছে সাত জন পরীক্ষার্থী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭ (৯৮.১৭ শতাংশ)।
অষ্টম স্থানে রয়েছে চারজন পরীক্ষার্থী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬ (৯৮ শতাংশ)।
নবম স্থানে রয়েছে সাত জন পরীক্ষার্থী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫ (৯৭.৮৬ শতাংশ)।
দশন স্থান অধিকার করেছে ১৫ জন পরীক্ষার্থী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ (৯৭.৭১ শতাংশ)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন