৫৫ দিন পর গ্রেফতার হয়েছে সন্দেশখালির নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। শাহজাহানের জামিনের প্রসঙ্গ তুলতে, তাঁর প্রতি কোনও ‘সমবেদনা’ নেই বলে শাহজাহানের আইনজীবীকে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
এদিন শাহজাহানের আইনজীবী আদালতে হাজির হতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম।” তার পরেই ওই আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। আপনার মক্কেল (শাহজাহান শেখ)-এর বিরুদ্ধে ৪৩ মামলা আছে। অনেক কাজ করতে হবে আপনাকে। খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। চার-পাঁচ জন জুনিয়র রাখতে হবে।” তার পরই তিনি শাহাজাহানের নামোল্লেখ না করেই বলেন, “এই ব্যক্তির জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।”
বুধবার রাতে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করে সকালেই তাঁকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পর তাঁকে নিয়ে যাওয় হয় ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে শাহজাহানের বলে জানান গেছে। কলকাতা পুলিশের সিআইডি শাখা শাহজাহানের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাবে।
শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি জানান, “মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। আইনি কিছু জটিলতার জন্য শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বিলম্ব। আদালতের জটিলতা কাটতেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।“
অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তায় ঘেরা রয়েছে গোটা সন্দেশখালি। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে পুলিশি তৎপরতা। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রায় প্রতিটা মোড়ে রয়েছে পুলিশ পিকেট। সঙ্গে করা হচ্ছে মাইকে প্রচার। এলাকার মোট ৪৯ জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। লাল আবির সাথে ভারত মাতার নামে জয়ধ্বনি দিয়ে উল্লাসে মেতেছেন এলাকাবাসীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন