২০২৪ সালে দুর্গাপুজোর জন্য পুজো কমিটিগুলির অনুদান আরও বাড়াল রাজ্য সরকার। ১৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ৮৫ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।
মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে করা বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি বলেন, "এবার থেকে ৭০ থেকে স্ল্যাবটা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করে দিলাম। আশা করি এতেই আপনাদের চলবে। এই গরিব সরকার এর থেকে বেশি আর কী করতে পারে বলুন। এবার যদি ১৫ হাজার বাড়তে পারে আগামী বছর ওটা ১ লক্ষ করে দেব"।
এই ঘোষণার পরই রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। অধীর চৌধুরী বলেন, মানুষের টাকা নিয়ে, আমার আপনার টাকা নিয়ে দেখাচ্ছেন তিনি দয়াবান। দুর্গাপুজোয় চাঁদা দিয়ে আসলে ক্লাবগুলিকে কিনে নিতে চাইছেন তিনি। ভবিষ্যতে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করবে এই ক্লাবগুলি।
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, রাজ্যের আইনসভার সদস্য হিসেবে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি আর্থিক অনটনের কারণে গ্রাম থেকে শহরে ভালো করে চিকিৎসক নেই, নার্স নেই। বিদ্যালয়গুলিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। এইসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তিনি রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলেন। এখন ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেলন। কিন্তু রাজ্যের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তার কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার ৬০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিল। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। আর চলতি বছর ৮৫ হাজার করা হয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ১ লক্ষ দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছর ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে কলকাতাতেই রয়েছে ২৭০০-র বেশি পুজোকমিটি। ৪৩ হাজার কমিটিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দিলে সরকারের খরচ হবে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুতের বিলে ৭৫% ছাড়ের ঘোষণাও করেন মমতা ব্যানার্জি। ফায়ার লাইসেন্সের জন্যও সমস্ত টাকা মকুব করেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন