বুধবার রাজভবনে একটি অ্যান্টি-কোরাপশান সেল-এর সূচনা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের এই উদ্যোগে একেবারেই খুশি নয় রাজ্যের শাসকগোষ্ঠী। আর সেই মনোভাব এদিন আরও স্পষ্ট হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। বোসের এই দুর্নীতি-বিরোধী শাখা তৈরি আসলে রাজ্য প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করার জন্য বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বোসের বিরুদ্ধে বিজেপির নির্দেশে কাজ করার অভিযোগও শোনা যায় তাঁর মুখে।
বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর বাসভবনেই একটি দুর্নীতি-বিরোধী শাখার উন্মোচন করেন। তিনি জানান, এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের মানুষ সরকারি বা বেসরকারি কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক সহজেই সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপও নেওয়া হবে। তবে বোসের এই উদ্যোগ বিরোধী দলের পছন্দ হলেও শাসকদলের মনের মতো হয়নি।
এদিন রাজ্যপালের এই উদ্যোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি শুনলাম রাজ্যপাল নাকি একটি অ্যান্টি-কোরাপশান সেল তৈরি করেছেন। এটা রাজভবনের কাজ নয়। রাজ্যপালকে আমরা সম্মান করি। উনি নিজে থেকেই এইসব সেল তৈরি করছেন। উনি শুধু শুধু অকারণেই রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন।” তৃণমূল সুপ্রিমো আরও জানিয়েছেন, “আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি রাজ্যপাল একটি মুখোশ পরে আছেন এবং বিজেপির নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে চলেছেন।” সংবিধানে রাজ্যপালের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে বলেও এদিন বোসকে মনে করিয়ে দেন তিনি।
আবার, পশ্চিমবঙ্গের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বোস তাঁর নিজের রাজ্য কেরালার এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “কেরালা থেকে একজনকে নিয়ে এসে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। আর যাকে উপাচার্য করেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাই নেই।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন