কয়লা পাচারকাণ্ডে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছেন তিনি।
এই নিয়ে আজ সকাল থেকেই ইডি দফতরে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিকরা প্রশ্ন প্রস্তুত করেছেন বলেই সূত্রের খবর।
ইডি সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে এসেছে ৫ সদস্যের ইডির বিশেষ তদন্তকারী দল। কয়লাকাণ্ডে তাঁদের হাতে প্রচুর নতুন তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লির পর এবার কলকাতার ইডি দপ্তরে সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিষেককে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কয়লা পাচারকাণ্ডে বহুবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে তলব করা হয় ডায়মণ্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বারবার দিল্লিতে তলব করায় ইডির বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানান অভিষেক। প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন নামঞ্জুর করে। শেষপর্যন্ত অভিষেকের সেই মামলা গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অভিষেককে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাঁর শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও কয়লা পাচারকাণ্ডে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, ইডির এই সমনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেনকা। হাইকোর্ট মেনকা গম্ভীরকেও কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ইডির তলবের ঘণ্টা খানেক পর ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’(এনসিআরবি)-র একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক।
ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে দু’টি কাজ রয়েছে। বাড়িতে ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো ও তাঁর মন্ত্রকের অধীনে পুলিশকে সাজানো। দিল্লিতে অপরাধের হার আমাদের সকলকে হতবাক করেছে। ইডির সঙ্গে পুতুল খেলার বদলে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে ওঁর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন