কয়লা পাচারকাণ্ডে আটজন আইপিএস অফিসারকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাঁদের হাজিরার নোটিশ পাঠালো কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১৫ আগস্টের পর তাঁদের দিল্লিতে হাজিরা দিতে হবে।
সূত্রের খবর, জ্ঞানবন্ত সিং, সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র, শ্যাম সিং, সেলভা মুরুগান, ভাস্কর মুখার্জী এবং কোটেশ্বর রাও-কে তলব করেছে ইডি। এদের মধ্যে শ্যাম সিং-কে আগামী ২৪ আগস্ট দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং-কে ২২ আগস্ট, ২৩ আগস্ট কোটেশ্বর রাও, ২৫ আগস্ট সেলভা মুরুগান, ২৬ আগস্ট রাজীব মিশ্র, ২৯ আগস্ট সুকেশ জৈন, ৩০ আগস্ট তথাগত বসু এবং ৩১ আগস্ট ভাস্কর মুখার্জীকে তলব করেছে ইডি। এঁরা প্রত্যেকেই আসানসোলের গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন।
ইডি সূত্রের খবর, এই আটজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এঁদের উপস্থিতিতেই একাধিক ট্রলি এবং লরিতে করে কয়লা পাচার হত। এঁরা কোনও ব্যবস্থাই নেননি। উপরন্তু, টাকার বিনিময়ে কয়লা পাচারের ক্ষেত্রে সুবিধা পাইয়ে দিতেন। এমনকি একটা নির্দিষ্ট টোকেন নম্বর দেখানোর পর পুলিশ পাচারকারীদের ছেড়েও দিত বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আজ গোরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দশম বার হাজিরা এড়ানোর পর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ঠিক এরপরই কয়লা পাচারকাণ্ডে তৎপর হল ইডি।
প্রসঙ্গত, এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও অধরা। গত এপ্রিল মাসে লালা ও বিনয় মিশ্রের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ‘ওপেন ডেটেড ওয়ারেন্ট’ জারি করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এই মামলায় রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (ইসিএল)-এর বেশ কয়েক জন কর্তা ও কর্মীকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন