রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব মিটতে না মিটতেই কয়লা পাচার কান্ডে আবারও তলব করা হল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে মন্ত্রীকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও অন্যান্যবারের মত এবারও মলয় ঘটক হাজিরা এড়াবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগেও একাধিকবার কয়লা পাচার কান্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতাকে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে জানিয়ে তিনি একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন। টানা এগারো বার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আসানসোলে মলয় ঘটকের বাড়ি এবং একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় সিবিআই। একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ওইদিন আসানসোলের পাশাপাশি কলকাতার চারটি জায়গাতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। এর মধ্যে লেক গার্ডেন্সে অবস্থিত মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িও ছিল। বাকি তিনটি জায়গা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছিল।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য মলয় ঘটকের। এর আগে একাধিকবার তাঁকে সিবিআই এবং ইডি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ মলয় ঘটককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হলেও সেদিন হাজিরা দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। বরং তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে প্রথম দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মৌখিক রক্ষাকবচ পান তিনি। দ্বিতীয় দফায় সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ে ২৬ এপ্রিল অবধি। এরপর আরও ১৪ দিনের জন্য স্বস্তি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর সেই সময় শেষ হওয়ার পরেই ২১ জুন ফের মলয় ঘটককে ডেকে পাঠায় ইডি। সেবার তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা জানিয়ে হাজিরা এড়ান। ২১ জুন মলয় ঘটক ইডিকে চিঠি লিখে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজের জন্য তিনি খুব ব্যস্ত। সেই কারণে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন