মমতা ব্যানার্জীর মিছিলের জন্য ছুটি থাকবে বিভিন্ন অফিস থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ও! ১ সেপ্টেম্বরের মিছিলে শিক্ষা দপ্তরকে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সোমবার দুর্গাপুজো নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জী। বৈঠক থেকে তিনি ১ সেপ্টেম্বর একটি মিছিল করার কথা জানান। তিনি বলেন, “দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি উদযাপনে ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মিছিল হবে। আমি স্কুল ডিপার্টমেন্টকে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। ক্লাস ১১-১২ এর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসা হোক। ওরাও সাক্ষী থাকুক।" প্রয়োজনে তিনি বিদ্যালয়গুলিকে হাফ ছুটি দিতেও বলেন।
এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশিষ্টজনরা মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত একদমই ঠিক নয়। রাজ্যের প্রায় সব স্কুলেই পঞ্চম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যাঘাত ঘটানো হবে কেন? কারণ স্কুল ছুটি দিয়ে শিক্ষকদেরও ঐ মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা বলেন তিনি। অনেকে বলছেন, এমনিতেই করোনার জন্য শিক্ষাজগতে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। কিছুদিন আগেই গরমের ছুটির সময়সীমা বাড়িয়েও ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ছুটি দেন মমতা। তখনও একাধিক মহলে তাঁর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টোর সময় জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির সামনে মিছিলের উদ্দেশ্যে জমায়েত হবে। দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। সাথে প্রতিটি এমএলএ, কাউন্সিলরদেরকেও দায়িত্ব নিতে হবে। অফিসের কর্মচারী, পড়ুয়াদের থাকতে হবে। এই মিছিলে যাতে প্রচুর রঙ থাকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাই রঙ রাখবেন, রঙিন ছাতা নেবেন, রঙিন জামাকাপড় পড়ে আসবেন।' এছাড়াও তিনি বলেন, রাস্তায় যানজট হতে পারে। তাই সমস্ত অফিস তাড়াতাড়ি ছুটি দেওয়া হোক। অফিসের কর্মচারীরাও ঐ মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি ঐ দিন রাজ্যের সমস্ত জেলাকেও মিছিলের উদ্যোগ নিতে বলেন। জেলার ডিএম, এসপি, আইসিদের সেই দায়িত্বভার গ্রহণ করতে বলেন। জেলার সমস্ত ক্লাবগুলিকে মিছিলের নির্দেশ দেন। বৈঠকে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের দুর্গাপুজোর ছুটি ঘোষণা করেন মমতা। রাজ্যের প্রায় ৪৩ হাজার ক্লাবকে ৬০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তাছাড়া CESC ও রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরকে পুজোর মণ্ডপ পিছু বিদ্যুৎ বিলে ৬০% ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন