একের পর এক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। প্রায় প্রতিটি মামলাতেই উঠে এসেছে শাসক দলের কোনও না কোনও নেতা-মন্ত্রীর নাম। এবারও তার অন্যথা হল না। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়ালো শাসক দলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁকে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা অধিবেশন শেষে মানিক ভট্টাচার্য সিবিআই দপ্তরে হাজিরাও দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি আদালত সিবিআইকে জানিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা না করলে তৃণমূল বিধায়ক মানিককে হেফাজতে নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা তাঁদের আছে। এছাড়াও, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছাড়াও সম্পাদক রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে সিবিআই-এর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত আরও পর্যবেক্ষণ করেছে যে, ২০১৪ সালে যে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেই মেধাতালিকাতেও অনেক বেনিয়ম হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের তরফে ওই ২৬৯ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মঙ্গলবার থেকে তাঁরা আর স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সোমবারের শুনানি শেষ হওয়ার পর ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারকে এই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং নথিপত্র সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ জারি করে বলেছেন, সংগৃহীত তথ্য নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। আদালত ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন