আগামী দু'মাস ধর্মতলায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, পুলিশের নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে CPIM ও ডক্টরস ফোরাম

People's Reporter: ওই এলাকায় আগামী দু'মাস জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে যা ১৪৪ ধারা ছিল)। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মনোজ কুমার বর্মা
মনোজ কুমার বর্মাছবি - সংগৃহীত
Published on

আর জি করের কাণ্ডে এযাবৎ যত প্রতিবাদ, মিছিল সংগঠিত হয়েছে, তার গন্তব্য বহু ক্ষেত্রই ধর্মতলা। আবার ধর্মতলা থেকে বহু মিছিল শুরুও হয়েছে। ধর্না-অবস্থানও হয়েছে। এই আবহে এবার ধর্মতলা চত্বরে আগামী দু'মাস জমায়েত নিষিদ্ধ করল কলকাতা পুলিশ। এই নিয়ে পৃথকভাবে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিআইএম এবং জয়েন্ট ডক্টরস ফোরাম। শুক্রবার আদালতে জোড়া মামলা শুনানির সম্ভাবনা।

বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের নয়া কমিশনার মনোজ বর্মা স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত কেসি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউজ পর্যন্ত এবং সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ। ওই এলাকায় আগামী দু'মাস জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে যা ১৪৪ ধারা ছিল)। বেন্টিং স্ট্রিট বাদ দিয়ে আগামী দু'মাস ধর্মতলা চত্বরে পাঁচ জনের বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের এই নির্দেশিকা বেআইনি বলে দাবি তুলেছে সিপিআইএমের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন এবং জয়েন্ট ডক্টরস ফোরাম। আগামী কাল তাঁদের মিছিলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে পৃথকভাবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। শুক্রবার এই জোড়া মামলার শুনানি রয়েছে।

সিপিআইএম প্রশ্ন তুলেছে, পুজো আসছে। ওই এলাকাগুলিতেও বেশ কিছু বড় এবং মাঝারি পুজো হয়। পুজোর সময়ও কি মানুষ ওই এলাকায় ভিড় করতে পারবেন না? গল্প করা যাবে না প্যান্ডেলে বসে? যাঁরা উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় নিয়মিত যাতায়াত করেন, এই বিজ্ঞপ্তির ফলে তাঁদেরও সমস্যা হবে বলে মত সিপিআইএম-এর।

এবিষয়ে আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, "মানুষ যাতে যেতে না পারেন, তার জন্য আটকানো হচ্ছে। প্রতিদিন প্রতিবাদ চলছে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আসলে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।"

অন্যদিকে, চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "এটা বেআইনি নির্দেশনামা। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দেশের কোথাও আইনি বাধা নেই। সংবিধান অধিকার দিয়েছে আমাদের। আমাদের রাজ্যে নিশ্চয়ই তালিবানি শাসন বা পুলিশের শাসন চলছে না। একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার কী ভাবে এতে সায় দেয়?"

যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, প্রশাসনিক কারণেই এমন করে থাকবে পুলিশ। যাঁদের আপত্তি জানানোর জানিয়েছেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা।  

মনোজ কুমার বর্মা
Durga Puja Carnival: আরজি কর আবহে এবারও পূর্ণ জৌলুসেই হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল, জানিয়ে দিল নবান্ন

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in