ভোটের আবহে বরাহনগরে সিপিআইএম পার্টি অফিসে আগুন। সোমবার গভীর রাতে ওই পার্টি অফিসে আগুন লাগে। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই আগুন লাগিয়েছে। যদিও সিপিআইএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বরাহনগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন’পাড়ায় সিপিআইএমের পার্টি অফিসে সোমবার গভীর রাতে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় বাড়ি ফিরছিলেন এক দম্পতি। পার্টি অফিসের ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে, কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন আগুন লেগেছে। তারপর ওই দম্পতির চিৎকার, চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় জড়ো হয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগীতায় বাম কর্মীরা আগুন নেভান বলে জানা গেছে।
যদিও কীভাবে এই আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায় নি। সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই আগুন লাগিয়েছে। কেরোসিন তেল ঢেলে পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
এই আগুন লাগার খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী ও বরাহনগর বিধানসভা উপনির্বাচনের সিপিআইএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। তন্ময়বাবু তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, “তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বাধীন দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা আপাতত বলছি, পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করুক। যদি পুলিশ দায়িত্ব পালন না করে, আমরা দু’দিন দেখব, তিন দিন দেখব, চার দিন দেখব। তার পরে তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, এটা ২০১১-এর সিপিএম নয়, এটা ২০২৪-এর সিপিএম, তৃণমূল যেন মনে রাখে।“
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিআইএমের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের লোকজনই এই কাজ করেছে।
তৃণমূলের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তন্ময় ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, “গোটা সিপিআইএম একসঙ্গে আছে। ওরা সিপিআইএমের ভিতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খুঁজে বেড়াক। শকুনের নজর তো ভাগাড়ের দিকে থাকে। আমারা তো শকুন হতে চাইনা। তাই আমরা বলছি না তৃণমূলের একটা গোষ্ঠী করেছে। আমরা বলছি গোটা তৃণমূল করেছে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন