বেহালা পশ্চিম বিধানসভার একাধিক ওয়ার্ডে বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে 'চোর তাড়াও' পোস্টার দিলো সিপিআইএম। পাশাপাশি ওই একই পোস্টারে বিধায়কের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছে তারা। মোট ১০টি ওয়ার্ডে পোস্টারগুলি দেখা যায়।
বাড়ির দেওয়ালে হোক বা পরিত্যক্ত পাঁচিলে একাধিক পোস্টার দেখা যাচ্ছে বেহালা পশ্চিম জুড়ে। পোস্টারে লেখা আছে, "চোর তাড়াও, বেহালা বাঁচাও। স্থানীয় বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে লেখা আছে পরিষেবা কোথায় পাই, এলাকায় বিধায়ক নাই, চোর বিধায়কের পদত্যাগ চাই। নীচে লেখা সিপিআই(এম)।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ১১৮, ১১৯ এবং ১২৫-১৩২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি বেহালা পশ্চিম বিধানসভা। সবক'টি ওয়ার্ডের পোস্টারগুলি দেখা গেছে। পোস্টার ছাড়াও কিছু দিন আগে সিপিআইএম-র তরফ থেকে লিফলেট বিলি করা হয়েছিল বেহালাতে। যাতে লেখা ছিল "চোর তাড়াও বেহাল বাঁচাও। চাকরি চোর ঘুষখোর, হাজতবাসী, অপদার্থ বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চাই।"
এছাড়াও লেখা ছিল, "বিশ বছরের বেশী সময় ধরে বেহালা (পশ্চিম)-এর বিধায়ক থাকা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির গত ২৩ জুলাই থেকে অস্থায়ী ঠিকানা আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেল। সত্তরোর্ধ বিধায়ক পার্থ বাবুর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বহুমূল্য অলঙ্কার, টেট পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র, অ্যাডমিট কার্ড। অপনারা নিশ্চয়ই চাইবেন না বিধায়ক তহবিলের মহার্ঘ টাকা সরকারি কোষাগারে পড়ে নষ্ট হোক, বেহালার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাক। পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকানদারদের লিফলেটগুলি বিলি করেছিলেন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন