এই সরকারের লজ্জা শরম কিছু নেই। একদম দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এই সব কিছুর সাথে জড়িত। এসএসসি দুর্নীতি প্রসঙ্গে এমনই অভিযোগ করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে এসএসসির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে তৈরি বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছেন সেখানে বলা হয়েছে চাকরি পাওয়া ৬০৯ জনের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। পাশাপাশি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ৫ সদস্য নিয়ে যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করা হয়েছিল তাকেও বেআইনি বলে জানিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বর্তমান সরকারকে আক্রমণ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক।
মহম্মদ সেলিম বলেন, "উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। আমদের মনে হয়েছিল আর বোধহয় ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না এই রাজ্যে। কারণ একটা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন পুলিশকে কিনছে, মস্তান পুষছে, সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে চোর-জোচ্চোরদের ভরে দিয়েছে। বেকারদের ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এখন তাদের জেল দেওয়া হচ্ছে। এখন যাঁদের স্কুলে পড়ানোর কথা তাঁরা রাস্তায় বসে ধরনা দিচ্ছেন, লাঠি খাচ্ছেন, আমরণ অনশন করছেন। আর অন্যদিকে টাকার খেলা চলছে। শিক্ষা মন্ত্রী নিজে এই সবকিছুতে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?"
তিনি আরও বলেন, "শিক্ষা দপ্তর এমন কমিটি তৈরি করেছে, যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টকে তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়েছে। তাহলে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না কেন? কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে। একদিকে নিয়োগ হচ্ছে না, অন্যদিকে যে সংস্থাগুলো নিয়োগ করে সেখানে দুর্নীতিতে ভর্তি। এই সরকারের লজ্জা শরম কিছু নেই। দোকান খুলে বসে আছে, চাকরি বিক্রি করছে।"
সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "স্কুলে ভালো শিক্ষক না থাকলে সেখানে ছাত্র যাবেনা। সরকার এটাই চাইছে। পরে সেই স্কুল কলেজগুলোকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।" আমজনতাকে এর বিরুদ্ধে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন