রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। এদিনই মাঝরাতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। যার জেরে সোমবার সকাল থেকেই বিপর্যস্ত জনজীবন শহর কলকাতায়। সপ্তাহের শুরুতেই কাজের জায়গায় পৌঁছতে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
এমনিতেই রাতভোর ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির জেরে শহরের বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন। একাধিক জায়গায় গাছ পড়ার খবর পাওয়া গেছে। রেমালের প্রভাবে বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচলও। এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদা দক্ষিণ বিভাগে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বেলা ৯টা ৩৫ নাগাদ শিয়ালদা থেকে দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেমালের জেরে ব্যাহত হয়েছে মেট্রো রেল পরিষেবাও। শহর কলকাতার পার্ক স্ট্রীট মেট্রো স্টেশন জলে ভেসে যায়। এর আগেও পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে জল ঢোকার নজির থাকলেও এবার তা সবকিছু ছাপিয়ে গেছে। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেট্রো পরিষেবা। সোমবার সকালে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল পার্ক স্ট্রিট, ময়দান অঞ্চলে। দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক এবং টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষের মধ্যে মেট্রো চলাচল করছিল।
ট্রেন পরিষেবা ছাড়া সড়ক পথেও চলাচলও এদিন কঠিন হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের। শহরের রাস্তায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যাও অনেকটাই কম। সল্টলেকের একাধিক ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে নিউটাইনের বিস্তীর্ণ এলাকাও।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ের দাপটে শহরের বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিড়েছে। বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত রাতে এন্টালি অঞ্চলে বাড়ির কার্নিশ ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন