ফের পিছলো সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হবে এই মামলার শুনানি। ৩ মাস পর শীর্ষ আদালত কী রায় দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে সরকারি কর্মীদের।
একটার পর একটা তারিখ চলে যাচ্ছে কিন্তু ডিএ মামলার শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু ফের তা পিছিয়ে গেলো। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম আদালতে বলেন, শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ধার্য করা উচিত। এইভাবে কতবার শুনানি পিছিয়ে যাবে? অন্য একটি কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী জানান, বার বার শুনানির দিন পিছিয়ে যাওয়ার সরকারি কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা রাস্তায় বসে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। দ্রুত শুনানি করে মামলার নিষ্পত্তি প্রয়োজন।
রাজ্যের পক্ষে থাকা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে বলেন, আদালতই আগে জানিয়েছিল সব পক্ষের উপস্থিতিতে সময় নিয়েই শুনানি হবে। তাই নতুন তারিখ দেওয়া হোক। এরপর বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানির দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা হচ্ছে কর্মচারীদের আইনি ও মৌলিক অধিকার, তা অবিলম্বে মিতিয়ে দেওয়া উচিত। রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয় তহবিলের অভাব থাকায় ডিএ মেটাতে পারছেনা রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বকেয়া ডিএ মেটাতে গেলে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৪১ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু এখনও মামলা চলছে।
আজকের দিন ধরে মোট ১০বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেলো। প্রথম শুনানি হয় ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর। তারপর শুনানির দিন ধার্য কর হয় ৫ ডিসেম্বর। মাঝে একাধিক দিন দেওয়া হয় শুনানির জন্য। কিন্তু বিভিন্ন কারণে শুনানি সম্পন্ন হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন