১০ দিনের মধ্যে রাজ্যকে ডিএ আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে শহিদ মিনার চত্বরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীচারী সংগঠনের জোট সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাঁদের দাবি অবিলম্বে সরকারকে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এর আগেও আদালত রাজ্য ও আন্দোলনকারীদের সমাধানের পথ খুঁজতে বলেছিল।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটা সমাধান সূত্র বের করতে হবে। রাজ্য এবং ডিএ আন্দোলনকারী উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে।
আদালত জানায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি তৈরি করতে হবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে ৫ জন সদস্যকে আলোচনায় বসতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যকে ১৭ এপ্রিল আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
সেই সময় আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, তিনটি শর্ত রাজ্যকে মানতে হবে। প্রথমত, কলকাতা হাই কোর্টের ডিএ পরিশোধের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার, তা প্রত্যাহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীদের শো-কজ নোটিশ জারি করেছে রাজ্য সরকার, তা প্রত্যাহার করতে হবে। তৃতীয়ত, ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি করা যাবে না। এর মাঝে গত ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালন করে এসেছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রায় ৫০০ জন সদস্য। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন