টাকা নিয়েছেন বিজেপির কাছ থেকে। কিন্তু বিক্রি হয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের কাছে। এই অন্তর্ঘাতের জেরেই বিজেপির বিপুল হার হয়েছে কলকাতা পুরভোটে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থীরা।
পুরভোটে ভরাডুবির অন্তর্তদন্তে নেমে হেস্টিংসে প্রার্থীদের মুখোমুখি হন অমিত মালব্যরা। ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'দলে খামতি ছিল। প্রত্যেক ওয়ার্ডেই প্রচুর আবেদন আসে। যাঁরা টিকিট পাননি, তৃণমূল তাঁদের টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিল। তাঁরাই আমাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন।'
পুরভোট নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব কতটা তৎপর ছিল? ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, 'আমাদের ঊর্ধ্বতনদের সমস্যাগুলি জানিয়েছি। সমস্যা প্রচুর ছিল। কিছু তো ম্যান মেড প্রবলেম।'
বিধানসভা ভোটের পর ৭ মাসের মধ্যে কলকাতার ভোটপ্রাপ্তি হিসাবে বামেদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। অসন্তোষ, অন্তর্ঘাত নিয়ে কঠোর হওয়া প্রয়োজন নেতৃত্বের। এমনটাই মনে করছে পদ্ম শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আগামী দিনে আমরা চিন্তাভাবনা করব।'
লোকসভা ভোটের আগে বড় নির্বাচন বলতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য জোড়া পুরভোট। সেখানেও বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়লে বামেরাই কার্যত প্রধান বিরোধী হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, রাজ্য কমিটির ঘোষণার পরে বিক্ষোভ অব্যাহত বঙ্গ বিজেপিতে। হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়লেন আরও চার বিধায়ক। এঁরা প্রত্যেকেই বাঁকুড়ার বিধায়ক। শনিবার পাঁচ মতুয়া বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আজ আরও চার বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। যদিও প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি।
প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'প্রতিদিন কত লোক গ্রুপে ঢুকছে, কত গ্রুপ থেকে বেরোচ্ছে। এটা কোনো খবর হতে পারে নাকি!'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন