মহা বিপাকে মমতা ব্যানার্জির সরকার। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল!
একদিকে, বকেয়া ‘মহার্ঘ ভাতা’ (DA)-র দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেল থেকে পদত্যাগ শুরু করেছেন একাধিক শিক্ষক। অন্যদিকে, ‘মহার্ঘ ভাতা’ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি উঠেছে শাসকদলের অন্দরেও। এই দাবি তুলেছেন- তৃণমূলের সরকারী কর্মচারী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী।
রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে, বকেয়া ৩৬% ডিএ (DA)-র দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। 'সরকারি নোটিস বেআইনি' বলে নবান্নকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে, পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সরকারী কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
এই আবহে- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের শিক্ষা সেল থেকে পদত্যাগের বন্যা বইছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের শিক্ষা সেল থেকে মোট ৬২ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে ৩২ জন বাঁকুড়া জেলার এবং বাকি ৩০ জন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার।
আর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মুখ খুলেছেন- TMC-র রাজ্য সরকারী কর্মচারী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী। ডিএ (DA) নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ দাবি তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে, তিনি আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলির সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত- রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের জন্য একটি বৈঠক ডাকা এবং সেখানে ডিএ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা।
শাসক দলের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, 'একইসঙ্গে, রাজ্য সরকারের উচিত একটি শ্বেতপত্র নিয়ে আসা। যেখানে রাজ্যের কোষাগারের বর্তমান অবস্থা এবং সেইমতো বকেয়া ডিএ মেটাতে কতটা এগোতে পারে সরকার, সেই ব্যখ্যা থাকবে।'
তবে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে যে কর্মবিরতি চলছে, তাকে সমর্থন না জানিয়ে তিনি বলেন, 'বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং এটি শুধুমাত্র আইনি উপায়ে নিষ্পত্তি করা উচিত। আগেও সরকারী পোষিত বিদ্যুৎ কর্মীদের কিছু বকেয়া ছিল। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে তাঁরা তা পেতে শুরু করেছেন।'
তবে, এই রিপোর্ট প্রকাশ পর্যন্ত মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতার আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন