বেহালায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলো বাম ছাত্র, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংঠন। পাশাপাশি একই দিনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসও।
শুক্রবারই প্রেস বিবৃতি জারি করে বিক্ষোভ সভার ডাক দেয় বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য তারা পুলিশের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছে। শনিবার বেলা ১২টা থেকে বেহালা চৌরাস্তা ট্রাফিক গার্ডের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, মহিলা সংগঠন এবং সিটু। পাশাপাশি ডেপুটেশন কর্মসূচিও পালন করেন তারা। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা কৌস্তভ চ্যাটার্জি।
বামেদের পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়, "এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। কিন্তু করতে হচ্ছে। কারণ দিনের পর দিন যেভাবে বেআইনি দোকান গজিয়ে উঠছে, কিন্তু প্রশাসন চুপ। দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই দোকানগুলো। তৃণমূলের নেতারা ভাষণ দিয়ে কেবল তোলা তোলে। আর টাকা সব কালীঘাটে পাঠায়।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর বেহালা চৌরাস্তায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাবার সাথে স্কুলে যাচ্ছিল বরিশা হাই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকার। আচমকা এক লারির ধাক্কায় প্রাণ চলে যায় তার। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরপর একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
অন্যদিকে, খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। শনিবার সকালে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতে যান ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম রায়। তিনি বলেন, "তদন্ত চলছে। সমস্ত আধিকারিকদের সাথে আলোচনা হয়েছে। ট্রাফিককে আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেই বিষয়টা আমরা দেখছি। ঘটনার দিন স্কুলের সামনে হয়তো পুলিশ ছিল না কিন্তু ১০ মিটার দূরে ছিল।"
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই লরি আটক করা হয়েছে এবং লরি চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন