কলকাতা জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। শহরে এই মুহূর্তে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। অন্যদিকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি। করোনা সংক্রমনের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতার মানুষজনের।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হল কলকাতা পুরসভায়। কলকাতা পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষের হাতে ডেপুটেশন তুলে দেন বাম নেতা আবু সুফিয়ান।
বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে অমিতাভ ভট্টাচার্য এদিন জানান, কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলিতে যেভাবে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রকোপ বাড়ছে তাতে শহরবাসী উদ্বিগ্ন। যদি কলকাতা পুরসভা মনে করে তবে নাগরিক হিসাবে সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে উন্নয়ন সমিতি। মানুষকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে প্রচার অভিযান থেকে শুরু করে রক্ত পরীক্ষা করে যদি কোনো ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে তবে তৎক্ষনাত তাঁর চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হবে বলে।
এ প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ জানান, কলকাতা পুরসভা প্রয়োজন মতো সমস্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নিয়েছে। তাই অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া অনেকটাই কম শহরে। করোনা সংক্রমণও আতঙ্কিত হওয়ার মতো জায়গায় নেই। নাগরিকরা নিজ উদ্যোগে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কোনো ভালো কাজে হাত বাড়ালে পুরসভা সবসময় তাতে উৎসাহ প্রদান করে। তবে সমস্যা হলো করোনা সংক্রমনের মতো ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াতেও উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন