এখনও হাল ছাড়েনি 'বঞ্চিত'২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা। তাঁরা মঙ্গলবার, নিয়োগের দাবিতে আবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে। এই নিয়ে ছয় বার ডেপুটেশন জমা দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
শুধু ডেপুটেশন নয়, কলেজে নিয়োগের দাবিতে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ই-মেইল করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু, তারপরেও কেউ কোনও উত্তর বা আশ্বাস না দেওয়ায়, এদিন আবার ডেপুটেশন জমা দিয়েছে তারা।
বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়ে অমিয় গায়েন জানান, ‘পুনরায় ক্ষমতায় এলে 'দ্বিগুণ শিক্ষক' নিয়োগ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুল সার্ভিসের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও, কলেজ সার্ভিসের তা মোটেও করা হচ্ছে না। অথচ রাজ্যের কলেজগুলিতে শূন্য পদের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে।'
এক প্রেস বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, 'এখনও ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তির একটি বিষয়ের ইন্টারভিউ হয়নি, তিনটি বিষয়ের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়নি। এমনকী আমাদের মেধা তালিকাভুক্ত সামান্য কয়েক'শ প্রার্থীকে নিয়োগ না করে এবং মেধা তালিকার বৈধতা শেষের আগেই নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তে। শূন্যপদ যদি থাকে এবং অধ্যাপক নিয়োগই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে আমাদের নিয়োগ কেন করা হবে না? প্যানেল প্রকাশের পরে আরো শূন্যপদ যোগ করে রিকাউন্সেলিং এর মাধ্যমে অনেক প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হলে আমরা বঞ্চিত কেন?'
জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েকদিন আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের মেধা তালিকার মেয়াদ বৃদ্ধি করে নিয়োগের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু, ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্তরা রাজ্য সারকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে আবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের সংগঠনের সম্পাদক হিমাদ্রি মন্ডল জানিয়েছেন, ‘সরকার যদি এবার আমাদের বিষয়টি নিয়ে না ভাবেন, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন