৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাক পুলিশ, নাহলে আইনি পদক্ষেপ করব – তপোব্রত রায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এমনই দাবি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন কর্মতর চিকিৎসকরা। বুধবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছিলেন তপোব্রতও। মঙ্গলবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালে 'প্রতীকী অনশনকারী'র ব্যাচ পরে যোগদান করায় তপোব্রতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুজোর ছুটির কারণে বন্ধ কলকাতা পুরসভা। কিন্তু পুরসভায় এসেছিলেন স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের কাছেই নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের দাবি, তপোব্রতকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। তাই পুলিশকে তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি দুঃখপ্রকাশ না করা হয়, তা হলে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ করবেন। সে ক্ষেত্রে পুরসভার চিকিৎসক যেহেতু অপমানিত হয়েছেন, তাই পুরসভাকেই আইনি সহায়তা দিতে হবে। তবে এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার কোনও আধিকারিক মুখ খুলতে চাননি।
তপোব্রতর দাবি, মঙ্গলবার ঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। তবে এই ঘটনার পরেও তিনি ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ আন্দোলনে থাকবেন। বর্তমানে তপোব্রত কলকাতা পুরসভার ১৬ নম্বর বরো-র সেকেন্ড মেডিক্যাল অফিসারের পদে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে কর্মরত ছিল কলকাতা পুরসভার একটি মেডিক্যাল দল। সেই দলেই ছিলেন চিকিৎসক তপোব্রত। ‘প্রতীকী অনশনকারী’র ব্যাচ লাগানো ছিল তপোব্রত রায়ের টি-শার্টে। অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করে ময়দান থানার পুলিশ। এরপর তাঁকে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকরা। এর ঘন্টা চারেক পর তপোব্রতকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন