মানুষের অধিকারের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আমাদের কর্মীরা লড়াই করছে। জেলে যাচ্ছে। আগামী দু'মাস এই অ্যাজেন্ডা নিয়েই আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাবো। DYFI রাস্তায় থাকবে। ৩ নভেম্বর, DYFI প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্য জুড়ে পদযাত্রা শুরু হবে। এই পদযাত্রার শেষে ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ করব। সোমবার কলকাতার দীনেশ মজুমদার ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী বলেন, নভেম্বরের ৩ তারিখ থেকে আমরা রাস্তায় থাকবো। কোচবিহার থেকে কলকাতা। এই দুমাস আমরা পদযাত্রা করবো। ইনসাফ যাত্রা হবে কাজের দাবিতে। আমাদের লড়াই মানুষের দাবিতে। আগামী ভবিষ্যতের সামনে আমরা ওদের মুখোশ খুলে দিতে চাইছি। তারপরে তাঁদের সঙ্গে লড়াই হবে।
এদিন ডিওয়াইএফআই নেত্রী বলেন, করোনার পর সব থেকে বড় বিপদ কাজের সমস্যা। স্থায়ী কাজ নেই। যা দেশ এবং রাজ্যের যুবকদের জন্য বড় বিপদ। মূল আঘাত নেমে আসছে এই জায়গায়। ২০১৪ থেকে যারা দেশকে পরিচালনা করছে তাঁরা কাজের জায়গায় বাজেট কমাচ্ছে। প্রতি মাসে বেকারের সংখ্যা, বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে। যারা কাজ খুঁজবে তারাও হতাশ হয়ে কাজ খুজছে না। আত্মহত্যা বাড়ছে। আত্মকেন্দ্রিকতা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে, রাজ্যে জাতি বিদ্বেষ, ধর্ম, ভাষার বিভেদ বাড়ছে। গোটা দেশের মতো আমাদের রাজ্যেও একই অবস্থা। নতুন কল কারখানা হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ছে। করমন্ডলের মত দুর্ঘটনা ঘটছে। পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ কিসে ফিরবে তা নিয়ে তরজা চলছে।
এদিন তিনি বলেন, একশো দিনের কাজে ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ কমল। শিল্প কারখানা নেই। সব জায়গায় সরকারের এক একটা নীতি হাফিস হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারিকরণ হচ্ছে। জমি জল জঙ্গল কর্পোরেটদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবন যন্ত্রণার অবসান করতে কেউ কিছু করছে না।
মীনাক্ষী বলেন, সরকারি বদান্যতায় আমাদের এই পদযাত্রা নয়। আমাদের পদযাত্রায় শিক্ষিত বেকার যুবরা থাকবেন। যাঁরা বেকারত্বের মধ্যে পরিবারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তারা এই পদযাত্রায়। আমরা তাঁবুর লড়াইয়ে নেই। আমাদের লড়াই রাস্তার লড়াই, আমাদের লড়াই খোলা আকাশের নীচে লড়াই।
রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ১৪ টা জায়গায় জমি অধিগ্রহণ করেছিল। মানুষের স্বার্থে। সেই জমিতে কারখানা হওয়ার কথা ছিল না। হল না। এদিকে মদের দোকান ঢালাও খুলে দিয়েছে এই সরকার। এই চোর জোচ্চোরগুলো রাজ্যের মানুষের, বেকারদের সর্বনাশ করে দিয়েছে।
এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, কি এমন ঘটনা ঘটল যে স্কুলে কলেজে ড্রপ আউট বেড়ে গেল। স্কুলে না গিয়ে পড়ুয়াদের ইটভাটায় কাজ করতে যেতে হচ্ছে। আর একদল মানুষ প্রতিদিন বালি পাচার, গরু পাচার, কয়লা পাচার করে এই পাচারের টাকায় বড়লোক হচ্ছে। আর রোজগার না থাকায় সাধারণ মানুষে হতাশা প্রতিদিন বাড়ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন