আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্য যুব নেতৃত্ব। প্রথমে পুলিশ বাধা দিলেও, সেই বাধা উপেক্ষা করেই নির্যাতিতার বাবা, মার সাথে কথা বলেন যুব নেতৃত্ব।
আরজি কর কাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠছে চিকিৎসক মহল। আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ আগস্ট রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন মহিলারা। অবিলম্বে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠছে সমস্ত মহলেই। প্রথম থেকেই পথে নেমছে সিপিআইএম, দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন। মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতার বাড়ি যান মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্তরা। পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে বলা হয় কেবল মীনাক্ষী মুখার্জি দেখা করতে পারবেন। এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বচসা চলে পুলিশ ও যুব নেতৃত্বের মধ্যে।
পুলিশের দাবি, পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বেশি জনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তর্ক বিতর্কের পর পুলিশ বাধ্য হয় মীনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্যদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিতে।
দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছে ডিওয়াইএফআই। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনা কেউ একা ঘটায়নি। এর সাথে আরও অনেকেই যুক্ত আছে। সকল অপরাধীকে অবিলম্বে গেফতার করতে হবে। কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ন্যায় বিচারের দাবিতে আগামীকাল রাত ১১.৩০টার সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আমজনতাদের জমায়েতের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের কেস ডায়েরি তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতি জানান, সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগপত্র এবং নিয়োগপত্র জমা করতে হবে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আবেগ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। তাঁদের এক সহকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দুপুর ১ টার মধ্যে কেস ডায়েরি জমা করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন