টানা ১৮ ঘন্টা তল্লাশির পর নিউ আলিপুরের লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অফিস থেকে বেরোলেন ইডি আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক নথি। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত 'কালীঘাটের কাকু' সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সাথে এই কোম্পানির যোগ থাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ওই অফিসে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, টানা তল্লাশির পাশাপাশি ওই সংস্থার ৩ জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কালীঘাটের কাকুর ঠিক কী ভূমিকা ছিল কোম্পানিতে তা জানতে চাওয়া হয়। ইডির তল্লাশিতে ১ হাজার পাতার নথি উদ্ধার হয়েছে। সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। রাতভর তল্লাশির পর মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ তিনটি ব্যাগে করে নথি নিয়ে বেরোতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করে ইডি, যিনি অভিষেক ব্যানার্জির অফিসে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। এই কালীঘাটের কাকুর কাছ থেকেই লিপস অ্যান্ড বাউন্স নামের কোম্পানির কথা জানা যায়। সেই সূত্র ধরেই ইডির তিনটি টিম তিন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাঁজুয়া এলাকায় প্রয়াত এক তৃণমূল নেতার আবাসন প্রকল্প, লি রোডে কালীঘাটের কাকুর মেয়ে ও জামাইয়ের ফ্ল্যাট এবং নিউ আলিপুরে হানা দেয় ইডি।
ইডির সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, সমস্ত জায়গাতেই আর্থিক বেনিয়ম হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কোটি কোটি টাকার লেনদেনের বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সিওও (চিপ অপারেটিং অফিসার) পদে কাজ করতেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকুর সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজের সাথে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের আর্থিক লেনদেনেরও প্রমাণ মিলেছে। ইডির চার্জশিটেই সেই তথ্য রয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-২১ সালের মধ্যে কালীঘাটের কাকুর সংস্থার সাথে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের মধ্যে ধাপে ধাপে ৯৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন