তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিকে বড় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ দিনে ইডি তলব করছে! এমনই দাবি করেছে বাম-কংগ্রেস। এর পিছনে তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত রয়েছে বলেও দাবি তাদের।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে আগামী ৩ অক্টোবর তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিকে তলব করেছে ইডি। ঘটনাচক্রে ওই দিনই দিল্লিতে তৃণমূলের পূর্বঘোষিত ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। কর্মসূচির কথা জানা সত্ত্বেও কেন ওই দিন ইডি তলব করেছে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বাম-কংগ্রেস। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং সিবিআই - এই দুই সংস্থার এমন হাল হলে মানুষ ভরসা করবে কী করে? বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতেই তলব করা হচ্ছে অভিষেক ব্যানার্জিকে। আগে বা পরে কি কোনও দিন নেই তলব করার মতো? আসলে বিজেপি চাইছে অভিষেককে বড় নেতা হিসেবে প্রমাণ করার। সেই জন্যই ইডি আর সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে। যাতে অভিষেক বলতে পারেন দেখো আমি এত বড় নেতা যে আমাকে ভয় পেয়ে কর্মসূচির দিনগুলোতেই ডাকছে।"
একই ভাবে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোও। তিনি বলেন, "তৃণমূল-বিজেপির সেটিং তত্ত্ব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে মানুষের কাছে। কারণ পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিনে অভিষেককে ডেকে তাঁরা গুরুত্ব বাড়াচ্ছে ইডি। ইডিকে পরিচালনা করেছে কেন্দ্র। এইভাবে বেশী দিন চলবে না।"
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেক ব্যানার্জিকে নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ২০ মে ডেকে পাঠায় সিবিআই। কর্মসূচি ছেড়েই কলকাতায় এসেছিলেন হাজিরা দিতে। ফের ওই একই কর্মসূচি চলাকালীন ১৩ জুন অভিষেককে তলব করে ইডি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা দেননি। আবার ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ 'ইন্ডিয়া'-র সমন্বয় কমিটির মিটিং ছিল। ওইদিনও অভিষেককে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন। এবার ফের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির দিনই অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
অভিষেক ব্যানার্জি অবশ্য নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইডি দপ্তরে হাজিরার বদলে দিল্লি যাবেন বলেই জানিয়েছেন। ইডিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এও লেখেন, "পারলে আমাকে আটকে দেখাক"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন