শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়! ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে মিলেছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী (ICDS) নিয়োগের তথ্য। সোমবার, এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)।
বর্তমানে ইডি’র হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের আস্থাভাজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী অয়ন শীল। পুরসভা ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই নাম জড়িয়েছে তাঁর। এবার, সেই অয়ন শীলের বাড়ি থেকে মিলেছে ICDS বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের নথি।
সূত্রের খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের যে নথি মিলেছে, তা সবই হুগলি জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে যুক্ত। এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে পেয়েছে ইডি।
শুধু তাই নয়, হুগলি (Hooghly) জেলার ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্তরের সাথে সংযুক্ত পঞ্চায়েত সহকারী নিয়োগে শীলের জড়িত থাকার তথ্যও সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হুগলির জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও নিয়োগের চক্র চালিয়েছে অয়ন শীল (Ayan Shil)। যৌথভাবে এই চক্রে রয়েছে বহিষ্কৃত ধৃত যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায় (Santanu Bandopadhyay)। যিনি আবার হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষও।
সম্প্রতি, অয়ন শীলের অফিসে ৩৭ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার করে ইডি। নথি দেখে জানা যায়, পুরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ধার্য করা ছিল নির্দিষ্ট রেট।
ইডি সূত্রের খবর, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় প্রায় ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছিলেন অয়ন শীল। পুরসভার সাফাই কর্মী, গাড়ির চালক পদের জন্য নেওয়া হতো ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি, টাইপিস্টের জন্য পরীক্ষার্থী পিছু নিতেন ৭ লক্ষ টাকা। এই সবগুলি হল ন্যূনতম মূল্য। প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে রেট বাড়ানো হতো। ইডির দাবি, ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ এই চাকরি বিক্রির কারবার শুরু করেছিলেন অয়ন শীল।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যত এগোচ্ছে, একাধিক ব্যক্তির নাম সামনে আসছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য মিলছে। বর্তমানে ইডি বা সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা প্রায় সকলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন