কলকাতাতে ফের সক্রিয় ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সল্টলেক-সহ কলকাতার আরও ছ'টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। জানা গেছে, এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন।
এদিন সকালে সল্টলেকের আইবি ব্লকে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু সেই সময় বাড়িতে ওই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন না। তদন্তকারী অফিসাররা ওই ব্যবসায়ীর সাথে ফোনে কথা বলে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এদিন ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। তল্লাশির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ।
ইডি সূত্র অনুসারে, রেশন দুর্নীতি মামলায় কত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে হয়েছে এবং বর্তমানে সেই টাকা কোথায় আছে, এই সমস্ত তথ্যের সন্ধানে এই তল্লাশি অভিযান।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। পাশাপাশি, এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর ইসলাম ও শঙ্কর আঢ্যকে। খোঁজ করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসা সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকেও।
বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের গ্রেফতারির পর ইডি আদালতে জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। এই টাকার সঙ্গে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে ইডি।
পাশাপাশি, ইডির আরও সন্দেহ, ওই ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা রেশনকাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়ের। জেরার মুখে তিনি তা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি ইডির। এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য মঙ্গলবার সকাল সকাল তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন