রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রা উদ্ধার করল ইডি। সোমবার শঙ্কর আঢ্যের মধ্য কলকাতার অফিসে তল্লাশি অভিযানে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখান থেকেই বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
জানা গেছে, পার্কস্ট্রিটে অবস্থিত শঙ্কর আঢ্যের ওই অফিস থেকে ৬ লক্ষ বাংলাদেশী মুদ্রা উদ্ধার করেছে ইডি। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সূত্র মারফত জানা গেছে, ইডির দাবি এই টাকাগুলি রেশন দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই টাকার উৎস খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সোমবার সকাল থেকে ইডি শহর কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। জানা গেছে, এদিনের এই তল্লাশি বেশিরভাগই শঙ্কর আঢ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, শঙ্কর আঢ্যের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যেন্ট অরবিন্দ সিং-এর অফিসেও অভিযান চালায়।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে। তাঁকে বালু তথা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা। আদালতে ইডি দাবি করেছিল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর চিঠির মাধ্যমে শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। যদিও, সংবাদ মাধ্যমের সামনে বারবার ইডির করা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।
আদালতে ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছিল, শঙ্করের ৯০টির বেশি ফরেক্স সংস্থা অর্থাৎ বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা রয়েছে। তবে সেই সংস্থাগুলি কোনোটাই শঙ্করের নামে নেই। রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং পরিচিতদের নামে।
ইডির তরফে আরও জানানো হয়, এই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর বিদেশে লেনদেন করেছেন। অভিযোগ, টাকা আগে বিদেশি মুদ্রায় (মূলত ডলারে) পরিবর্তন করে তারপর তা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। কখনও টাকা সরাসরি দুবাই পৌঁছেছে, কখনও গিয়েছে বাংলাদেশ হয়ে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন