কামারহাটি পুরসভায় কর্মরত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা, সোনা ও হীরে উদ্ধার করেছে ইডি। এছাড়াও নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথিও পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
গত ৫ অক্টোবর কামারহাটির অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাগুইহাটির অর্জুনপুরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকার পাশাপাশি আড়াই কিলো সোনা ও হিরের গহনা উদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে, ওই উদ্ধার হওয়া গহনার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
এছাড়াও, ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৩০০ পাতার বিভিন্ন সম্পত্তির নথি। উদ্ধার হওয়া এই সম্পত্তিও কয়েক কোটি টাকার বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই বিপুল সম্পত্তির সঙ্গে তমাল দত্তের আয়ের সঙ্গতি নেই বলে জানাচ্ছে ইডি। চাকরিতে যোগ দেওয়ার মাত্র ৬ বছরের মধ্যে এই বিপুল সম্পত্তি করেছেন তমাল।
আগেই তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়া হলেও গতকাল বিষয়টি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে ইডি। ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তমাল দত্তের সমস্ত সম্পত্তি। পাঠানো হয়েছে দিল্লির ইডি অফিসে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই আদালতে জমা দেওয়া হবে সমস্ত উদ্ধার হওয়া জিনিস বলেই জানানো হয়েছে ইডি সূত্রে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তমালকে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছিল ইডি, সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই তমালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। জানা গেছে, ২০১৬ সালে তমাল কামারহাটি পুরসভায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিয়েছিলেন। যোগ দেওয়ার মাত্র ছ’বছরে তাঁর সম্পত্তি রকেটের গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে কামারহাটি পুরসভায় প্রায় ৩০০-র বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তমালের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। ওই সূত্রের আরও দাবি, তমাল এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তমালের সঙ্গে একাধিক ‘প্রভাবশালী’রও যোগ রয়েছে বলে তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন