প্রাক্তনীরা সাহায্য করবে, এটাই নিয়ম! - যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট মানতে নারাজ ব্রাত্য

গত ২৪ অক্টোবর প্রাক্তনীদের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনি ফাউন্ডেশনকে চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট মানতে নারাজ ব্রাত্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট মানতে নারাজ ব্রাত্যগ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

আর্থিক অভাবে ব্যাহত হচ্ছে গবেষণা এবং পঠন-পাঠন। কোষাগার প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। সম্প্রতি অর্থ সাহায্য চেয়ে প্রাক্তনীদের চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কিন্তু আর্থিক সংকটের কথা কোনওমতেই মানতে নারাজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

গত ২৪ অক্টোবর প্রাক্তনীদের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনি ফাউন্ডেশনকে চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সেই প্রসঙ্গে বৃহস্পতি ব্রাত্য বসু বলেন - বিদেশে এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও এই রীতি চালু রয়েছে। এটাই নিয়ম, এক সময় যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁদের একটা দায়বদ্ধতা থেকেই যায়।

ফাউন্ডেশনকে লেখা চিঠিতে উপাচার্য জানিয়েছিলেন, মূলত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে আর্থিক সমস্যা সবচেয়ে বেশি। চিঠিতে তিনি জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল গঠনের জন্য আমি আপনাদের আবেদন জানাচ্ছি। যাতে পরিকাঠামো বজায় রাখা ও তা উন্নত করতে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রে আমাদের অর্থ সমস্যায় না পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এমন তহবিল সঙ্কটে পড়েছে, অ্যাকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।"

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, প্রাক্তনীদের তহবিল সারা পৃথিবীর রেওয়াজ। আগের সরকারের আমলেও তাই হয়েছে। এতে ভাঁড়ারে (পড়ুন বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে) টাকা নেই, তার প্রমাণ কী? রাজ্য সরকারের কাছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় টাকা চায়। আরইউএসইউ-এর (রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান) ৩০ কোটি টাকা এখনও বাকি রয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে কথা হয়েছে বলে দাবি ব্রাত্যর।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর সময় প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য বেশিরভাগ পড়ুয়াদের কাছেই স্মার্টফোন ছিল না। সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন প্রাক্তনীরাই। চিঠিতে এই কথাও তুলে ধরেন উপাচার্য।

আর্থিক সংকট মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে 'প্রাক্তনী সেল' তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে এই সেল তৈরীর প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে। উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা যাদবপুরের প্রাক্তনীরা চাইলে এই সেলের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারবেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট মানতে নারাজ ব্রাত্য
JU: চরম অর্থসংকটে ভুগছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাক্তনীদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য উপাচার্যের
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট মানতে নারাজ ব্রাত্য
সেরা গবেষকের তালিকায় JU-র ৪২, চরম আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়েও এই কৃতিত্ব গৌরবের - নন্দিনী মুখার্জি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in