কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যকরী করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের জয় নিশ্চিত নয় সেই নির্দেশিকা ধরাচ্ছেন আধিকারিকরা। এই নির্দেশিকা নিয়েও কারচুপির অভিযোগ করছে বিরোধীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন পুকুর, জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ব্যালট বক্স। আবার গণনার দিন ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে নর্দমায় বিরোধীদের ভোট পাওয়া ব্যালট পেপার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। প্রায় ৬ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি ওঠে। মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল জয়ী প্রার্থীর জয় নিশ্চিত নয়। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই বিষয়ে তাঁদের অবহিত করা হচ্ছে। নির্দেশিকার মূল কথা, নির্বাচিত হলেও জয়ী নন তাঁরা।
প্রতিটি ব্লকের বিডিওদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে এই কারণে। প্রশাসনের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন নির্বাচনের কাজ করছি। কিন্তু এই ধরণের অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। জয়ীদের কাছে গিয়ে বলতে হচ্ছে আপনারা জয়ী নন।
তবে এই নির্দেশিকার পাশাপাশি প্রশাসনের বিরুদ্ধে জোর করে সই করানোর অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থী ও এজেন্টদের কাছে পুলিশ যাচ্ছে। ভয় দেখিয়ে একটা কাগজে সই করতে বাধ্য করছে তাঁদের। যাতে আদালতে প্রমাণ হয় গণনার দিন গণনা কেন্দ্রে বিরোধী প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, এই মামলার ভবিষ্যতের উপর জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। নির্বাচন কমিশনকেও জয়ী প্রার্থীদের একথা জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আগামী ২০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন