উপনির্বাচনের আবহে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাত ৮ টার মধ্যে জবাব তলব করেছে কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ে কমিশনকে জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদারও।
বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গত বৃহস্পতিবার তালড্যাংড়ায় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সভা থেকে পুলিশের অশোক স্তম্ভ ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না। তৃণমূলের হয়ে দালালি করলে, পুলিশের যে টুপিটা পরেন, ঘাড়ে যে অশোক স্তম্ভটা পরেন, সেই অশোক স্তম্ভ টুপি থেকে খুলে রাখুন। একটা হাওয়াই চটির সিম্বল ওখানে লাগিয়ে নিন।’
এখানেই শেষ নয়। সুকান্ত সেদিন আরও বলেছিলেন, ‘ভোটে তো আমাদের তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই নয়, পুলিশের সঙ্গে লড়াই হয়। পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও তৃণমূল কংগ্রেস বলে কোনও দল থাকবে না। পুলিশকে বলতে চাই, পরিষ্কার করে শুনে রাখুন, সময় আসছে। মনে রাখবেন, চিরকাল কারও সমান যায় না।’
সুকান্তের এহেন মন্তব্য পুলিশের প্রতি, অশোক স্তম্ভের প্রতি অপমান। এই দাবি করে শনিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানায় তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সংসদীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভায় দলের সংসদীয় নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, লোকসভা সাংসদ কীর্তি আজাদ, রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেব৷
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সুকান্তকে শোকজ নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এদিন রাত ৮ টার মধ্যে জবাব তলব করেছে কমিশন। এদিকে বুধবার নির্বাচন। সোমবারই শেষ প্রচার। নৈহাটিতে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছেন সুকান্ত। যদিও তিনি জানিয়েছেন, সোমবার প্রচার শেষে জবাবি চিঠি কমিশনকে পাঠাবেন তিনি।
সুকান্ত বলেন, ‘আমি জবাব দেব। কিন্তু যা বলেছিলাম, ভুল বলিনি। প্রয়োজনে আবার বলব। কারণ, শাসকদলের হয়ে পুলিশের কাজ করাটা সত্য এবং তার প্রতিবাদ হওয়া দরকার।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন