অভিষেক ব্যানার্জির মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির নির্দেশই বহাল রাখলো বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপরেই অভিষেক ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
মামলার শুরুতেই সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, অভিষেক ব্যানার্জি কে? যে সে জিজ্ঞাসাবাদে সাহায্য করবে না, বড়ো মাতব্বর নাকি? বৃহস্পতিবারও অভিষেকের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। সুজনবাবু বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ইডি এবং সিবিআই অভিষেক ব্যানার্জিকে ডাকতেই পারতো। কিন্তু ডাকেনি। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির নির্দেশে পর ভয় পেয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে দিল্লিতে গিয়ে বড়ো বড়ো আইনজীবীদের সাহায্য নিলেন, যাতে বিচারপতির বদল হয়। কিন্তু লাভ হলো না।
তিনি আরও বলেন, এই অভিষেক ব্যানার্জিই বার বার বলেন শহিদ মিনারে গিয়ে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে যাবেন। উনি যদি নির্দোষ হন তাহলে এত ভয় কীসের? কুন্তল ঘোষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে অসুবিধা কোথায়? ওনার জন্য আইন আলাদা হবে নাকি?
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ইডি-সিবিআই-র জিজ্ঞাসাবাদে কোনো বাধা ছিল না। সুপ্রিম কোর্টেও কোনো বাধা ছিল না। বিচারপতি সিনহা বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশেই বহাল রাখলেন। ফলে অভিষেক ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। তদন্তে অসহযোগিতা করলে গ্রেফতারও করতে পারবে ইডি বা সিবিআই। পাশাপাশি কুন্তল ঘোষ এবং অভিষেক ব্যানার্জি উভয়কেই ২৫ লক্ষ করে মোট ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি সংক্রান্ত অভিষেকের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি সিনহা বলেন, “সিবিআই এবং ইডি তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী ৯ জুন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতে তদন্তে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।”
অন্যদিকে, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন অভিষেক ব্যানার্জি। নিজের আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে তিনি স্বস্তি পান কিনা সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন