রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই থাকছেন বনমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নিলেন মমতা ব্যানার্জি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রিয় 'বালু'র পাশেই দাঁড়ালেন তিনি।
গত মাসের শেষের দিকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিলেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে অন্য পথে হাঁটলেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না জ্যোতিপ্রিয়কে। এই বিষয়ে মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেন মমতা ব্যানার্জি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জ্যোতিপ্রিয়কে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে রাজনৈতিক লড়াই করতে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। সেই কারণেই ইডি, সিবিআই লাগিয়ে আমার মন্ত্রীদের জেলে ভরে দিচ্ছে। ক্ষমতা থাকলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই করুক।" পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র অবর্তমানে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হলো খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
একদিকে যখন মমতা ব্যানার্জি বালুর পাশে দাঁড়াচ্ছেন অন্যদিকে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক ব্যানার্জিকেই চিনতে পারলেন না জ্যোতিপ্রিয়। বুধবার ইডি হেফাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। তখনই সাংবাদিকরা তাঁকে অভিষেকের ইডি তলব নিয়ে প্রশ্ন করেন। সাংবাদিককদের উদ্দেশ্যে জ্যোতিপ্রিয় পাল্টা প্রশ্ন করেন 'কোন ব্যানার্জি? অভিষেক ব্যানার্জি কে? ও আমাদের লিডার?' যদিও তারপর আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিলেন না তিনি। মুখে শুধু একটাই কথা তিনি নির্দোষ। কিছুই জানেন না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু অভিষেকের নাম শুনে 'আকাশ থেকে পড়া' জ্যোতিপ্রিয়কে দেখে সকলেই কার্যত অবাক হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন