আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু ঘোষ। রাজ্যের হাসপাতালগুলির দুদর্শা থেকে শুরু করে আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় নিজের দলের মধ্যেই কার্যত কোণঠাসা হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এবার দলের মুখপাত্র-র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। যদিও এরপরও তিনি চুপ থাকেননি।
শান্তনু সেন পেশায় একজন চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী কাকলি সেনও চিকিৎসক এবং কন্যাও ডাক্তারি পড়ুয়া। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দু'জনেই আরজি করের প্রাক্তনী। তাঁদের কন্যাও আরজি করেই ডাক্তারি পড়ছেন। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের সমালোচনা করে গেছেন শান্তনু সেন।
রবিবার মমতা ব্যানার্জি বলেন, 'আরজি কর চক্রান্তে যারা ছিল তাদের রেয়াত করিনি'। তারপরই তৃণমূল মুখপাত্র পদ থেকে শান্তনু সেনকে সরিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। যদিও তৃণমূলের দাবি আগেই শান্তনু সেনকে অপসারিত করা হয়েছিল।
মুখপাত্র পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পরই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মাইক হাতে রাস্তায় নামেন শান্তনু সেন। স্লোগানও দিতে থাকেন তিনি। তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র বলেন, "আর জি কর নিয়ে যা বলার বলেছি। আর কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দলের মুখপাত্র ছিলাম, তাই দলের হয়ে কাজ করতাম। প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করি। ভাল, খারাপ সময় দেখেছি, মার খেয়েছি। আগামী দিনে তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব। মুখপাত্র হিসেবে এতদিন দলকে ডিফেন্ড করেছি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার বিবেকের তাড়না রয়েছে"।
এর আগে শান্তনু সেন জানান, "আমার মেয়ে আরজি করে পড়ে। ৬ মাস পর তাকেও নাইট ডিউটি করতে হবে। সেই আরজি করেই এই ঘটনা দেখতে হচ্ছে। সেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একটা বাড়ির মেয়েকে এভাবে চলে যেতে হল। আরজি করে শিক্ষার দফারফা হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো সবটা জানেন না বা সঠিক তথ্য ওঁর কাছে পৌঁছাচ্ছে না! সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। আমাকে মারুন, বকুন, যাই করুন, আমি বলব দয়া করে সঠিক খবরটা নিন"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন