অবশেষে কাটল আইনি জটিলতা। ২০১৬ সালের উত্তীর্ণ এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ‘পার্সোনালিটি টেস্ট’-এর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ২ এপ্রিল তাঁদের এসএসসির সদর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পার্সোনালিটি টেস্টে অংশ নিতে পারবেন না শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীরা বলেই জানিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার রাতে এসএসসির তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আপাতত ১০ শতাংশ সংরক্ষিত আসনের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২৭ মার্চ কমিশনের ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাডমিট কার্ড।
কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ওই দিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে করে নথিপত্রের আসল ও ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে। তবে ওই দিন কোনো চাকরিপ্রার্থী যদি উপস্থিত না থাকেন, তাহলে ওই চাকরিপ্রার্থীকে দ্বিতীয়বার আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তাঁরা জানিয়েছিলেন, দ্রুত আইনি জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর কীভাবে আইনি জটিলতা কাটানো যায়, তা নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের দ্বারস্থ হয় শিক্ষা দফতর। এরপরেই মঙ্গলবার নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তি পর এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন ১০ শতাংশ আপার প্রাইমারি পদে প্রায় ১৫০০-এর বেশি যোগ্য পার্শ্বশিক্ষকের ইন্টারভিউ আগামী ২রা এপ্রিল থেকে নেওয়ার নোটিফিকেশন প্রকাশ করেছে। আমাদের দাবি, স্কুলস্তরে সমস্ত শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করুক রাজ্য সরকার। সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, ভোটের মুখে লক্ষাধিক শূন্যপদের মধ্যে সামান্য কিছু শূন্যপদ পূরণ করে আন্দোলন থমকে দেওয়া যাবে না, সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ করতে হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন