সন্দেশখালি হামলার ঘটনায় খোদ ইডির বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয়েছে মামলা। সেই মামলার বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানায়, তারা সংবাদ মাধ্যমের মারফত জানতে পেরেছে এই এফআইআর দায়েরের কথা। শুধু তাই নয়, তাঁদের হেনস্তা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ইডি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত অভিযোগ শুনে মামলা রজু করার অনুমতি দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহতেই এই মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডি আধাকারিকরা। বারবার ডাকা সত্ত্বেও সাড়া দেয়নি তৃণমূল নেতা। এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর তালা ভাঙার উদ্যোগ নেন আধিকারিকদের সাথে থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। তখনই বাধে বিপত্তি।
প্রায় হাজার জন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। শাহজাহান অনুগামীদের হাতে রক্তাক্ত হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রাণ বাঁচিয়ে অটো করে এলাকা ছাড়েন ইডি আধিকারিকরা। আহত তিনজন ইডি আধিকারিককে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই ঘটনায় উল্টে ইডির বিরুদ্ধেই ন্যাজাট থানায় মামলা দায়ের করেন শাহজানের বাড়ির কর্মচারি। অভিযোগ, কোনও বৈধ তল্লাশি পরোয়ানা ছাড়া তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসে তালা ভেঙেছেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়াও ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করেন শাহজাহানের কর্মচারী।
ওই ঘটনার আরও দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যার মধ্যে, একটি করেছে ইডি। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে ন্যাজাট থানায় মামলা দায়ের করেছে ইডি। তদন্তকারী আধিকারিকদের তরফে ঘটনার কিছু ভিডিয়োও থানায় জমা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়ো মোটো) অভিযোগ দায়ের করে। পুরো ঘটনাস্থল প্রদর্শন করে এই মামলা দায়ের করা হয়ে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন