কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর প্রধান আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ডায়মণ্ড হারবারের বিষ্ণুপুর থানা এফআইআর দায়ের করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রধান উমেশ কুমার এবং আরও কয়েকজন আধিকারিকদের নামে এফআইআর করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ডায়মণ্ড হারবারের বাসিন্দা হাইবার আখানের অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ১২০(বি), ৫০৬, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৩৪ সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। এফআইআর-এর পর সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে সিআইডি। তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
হাইবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে সাক্ষী হিসেবে নিজাম প্যালেসে জোর করে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই অফিসাররা। এরপর তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা চাপ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত বয়ান রেকর্ড করেছে। এমনকি ফোনেও হাইবারকে হুমকি দেওয়া হয় বলে লিখিত আকারে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে হাইবার। তবে এখন উমেশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডাকবে কিনা তা স্পষ্ট হয়নি।
প্রসঙ্গত, কয়লা কাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। কয়েকদিন আগেই কয়লাপাচার কাণ্ডে হাইবার আখানকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে তলব করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কয়লাপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতা। উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।
এর আগে কয়লাপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়ের নামে। সিবিআই তাঁকে তলব করলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সিবিআই প্রধান উমেশ যাদব এবং অন্যান্য সিবিআই আধিকারিকরা রুজিরার বাড়ি গিয়ে তাঁকে তলব করেছিলেন।
উল্লেখ্য, রুজিরার পাশাপাশি কয়লাপাচার কাণ্ডে দুবারের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকেও তলব করেছিল সিবিআই। দুবার তলব এড়িয়ে যাওয়ার পর হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কয়লা-বেল্ট কয়লা চোরাচালানের র্যাকেটের ঘাঁটি ছিল, তদন্তকারী কর্মকর্তারা সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন। যেখানে পাচার করা কয়লা বিভিন্ন সময়ে পাঠানো হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন