গার্ডেনরিচে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সূত্রের খবর এখনও চলছে গণনা। খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার কারণে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারান তিনি। এই নিয়ে ফিরহাদকে এক হাত নিলেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, গার্ডেনরিচের নিসার খান একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কপালে ভাঁজ কেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ফিরহাদ চোর! মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই তালিকা দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর তালিকা অনুযায়ীই ইডি-সিবিআই ঘোরাঘুরি করছে।
ফিরহাদ হাকিমের মেজাজ হারানোয় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তাহলে ওই ব্যবসায়ীর সাথে কি যোগাযোগ ছিল মেয়রের? সুজন চক্রবর্তীও এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন - টাকা কি খোলামখুচি? যত বড় নেতার ঘনিষ্ঠ, তাঁর কাছে তত বেশি টাকা? টাকার ৭৫ ভাগ যায় কালিঘাটে 'পিসি-ভাইপোর' কাছে।
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটের পর শনিবার গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। গার্ডেনরিচ এলাকা ফিরহাদের এলাকা কলকাতা বন্দর বিধানসভার অন্তর্গত। এই কারণেই সাংবাদিকরা এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, "আমি কী কোনও ঠিকা নিয়ে রেখেছি নাকি? পোর্ট এলাকায় তো প্রচুর ব্যবসায়ী আছেন। সবাইকে চিনে বসে থাকা আমার দায় নাকি? এগুলো পাগলের মতো কথাবার্তা।"
নীরব মোদীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "দেশ থেকে নীরব মোদী হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী কি কোনও জবাব দিয়েছিলেন এর? তাহলে আমাকে কেন জবাবদিহি করতে হবে?"
ইডি সূত্রের খবর, মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা মামলার জেরে ব্যবসায়ী নাসির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। নিসারের বাড়ির দোতলার ঘরে খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন প্লাস্টিকের ব্যাগ। যার মধ্যে পাওয়া গেছে প্রচুর ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন