বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকাই এখনো ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকি চার জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
পাঁচ শিক্ষিকার তিনজন আরজি কর হাসপাতালে ও দু'জন এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার তাঁকে জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরই তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
আরজি করে ভর্তি বাকি দুই শিক্ষিকা এবং এনআরএসে ভর্তি আরো দুই শিক্ষিকা এখনো সিসিইউতেই রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অনেকটাই বিষ শরীরে ঢুকেছে তাই পাঁচজনকেই কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিষের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা জানতে একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পাঁচ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে হওয়া আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বেআইনিভাবে তাঁদের উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে। পাঁচজনেরই বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণায়।
এই ঘটনার আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করা এক শিক্ষিকা বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আমাদের বদলি করেছেন। আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় থাকি। অথচ আমাদের বদলি করা হয়েছে কোচবিহারে।’ আর এক শিক্ষিকা বলেন, ‘আমাদের যা বয়স, তাতে এখন আর অত দূরে গিয়ে চাকরি সম্ভব নয়। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।’
ইতিমধ্যেই এই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বদলির নির্দেশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষিকারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন