কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীরা তাঁদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা পাননি। কর্মীদের বকেয়া ডিএ না মেটানোয় এবার বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল আদালত।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার তিন কর্তার অর্থাৎ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) এবং দুই জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের ওই দুই বিদ্যুৎ সংস্থার নাম হল ডব্লুবিএসইটিসিএল এবং ডব্লুবিএসিডিসিএল।
কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেন, "কর্মীদের যে অর্থ দিয়েছেন, তাতে বাদাম খাওয়ার টাকাও হয় না। টাকার জন্য কর্মীদের এ ভাবে কাঁদতে দেখে অবাক লাগছে। কর্মীরা মানুষ। তাদের ছাড়া সংস্থা নয়। ঠিক মত ব্যবহার করুন।"
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা যতদিন না মেটানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বেতন বন্ধ থাকবে কর্তাদের। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত তিন বিদ্যুৎকর্তাকে এই নির্দেশ পালনের সুযোগ দিয়েছে আদালত। এমনকি ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওই দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের বেতন বন্ধ থাকবে।
ঠিক কী জানা গেছে? রাজ্যের এই দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ, টানা তিন বছর তাদের বকেয়া ডিএ আটকে রাখা হয়েছে। আদালতের তরফে বারবার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার এক পঞ্চমাংশ তারা পাননি। তা শুধু অতি সামান্য পরিমাণে দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত।
আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ২৩ জুনের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার কর্মীর ২০১৯ ও ২০২০ সালের বকেয়া মহার্ঘভাতার পাঁচ ভাগের এক ভাগ দিতে হবে। এবং ২৪ জুন আদালতে তা জানাতে হবে। এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ পর্ষদ বাকি টাকা কত কিস্তিতে মেটাতে পারবে সেটাও আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ পালন করেনি রাজ্যের এই দুই বিদ্যুৎ সংস্থা।
উল্লেখ্য, সরকার নিয়ন্ত্রিত এই দুটি সংস্থা পুরোপুরিভাবে সরকারের অধীনস্থ নয়। তবে বেতন পরিকাঠামো এবং মহার্ঘ্য ভাতার সুবিধা সরকারি কর্মচারীদের মতই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন