কালিপুজোর ঠিক দুদিন পরই বুধবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আবারও আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সাথে দেখা করলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আন্দোলনের ৫৯১ তম দিনে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নাস্থল থেকে তাঁদের অধিকার রক্ষার দাবি জানান বর্ষীয়ান নেতা।
সেলিমের কথায়, "সরকারের কোনও হুঁশ নেই বলেই তো চাকরিপ্রার্থীরা ৫৯১ দিন ধরে ধর্নায় বসে আছে। দিনের পর দিন ধরে এরা রাস্তার ধারে রোদ-ঝড়-জল বৃষ্টিতে পড়ে আছে। আমরা যখন ধর্নার ৫০০ তম দিনে এখানে এসেছিলাম, তখন শাসক দলের একজন সাংসদ বললেন, তিনি নাকি কিছু জানতেনই না!"
তিনি আরও বলেন, "আমি এখানে গত ১ বছর ধরে ঈদ, বকরি ঈদ, দুর্গাপুজো, কালিপুজো, ভাইফোঁটা সবকিছুতেই আসার চেষ্টা করেছি। নাহলে এদের পুলিশ দিয়ে তুলে দেওয়া হয়। ক'দিন আগেও আমরা দেখেছি কীভাবে টেট প্রার্থীদের পুলিশ দিয়ে সল্টলেক থেকে তুলে দেওয়া হল। অনেককে বারবার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মামলা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ছাত্র-যুব কর্মীরা সর্বদা তাঁদের পাশে থেকেছে।"
আদালতে গিয়ে লড়াই করা হয়েছে বলেই, দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন সেলিম। তাঁর কথায়, "উৎসশ্রী প্রকল্পের নামে টাকা ট্রান্সফার করা হচ্ছে। এদিকে বেকারদের চাকরি দেওয়ার নাম নেই সরকারের। আজ আমাদের এখানে আসার মুখ্য উদ্দেশ্যই হল মিডিয়া মারফত সাধারণ মানুষের নজর চাকরিপ্রার্থীদের দিকে ফেরানো। এদের সবার স্কুলে পড়ানোর কথা, অথচ এরা রাস্তার ধারে পড়ে থাকবে! তা কখনই সমাজ মেনে নেবে না।"
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, "দালালরাজ চলছে সর্বত্র। মানিক ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক মন্ত্রী, শিক্ষা পর্ষদের লোকজন, এসএসসি আধিকারিকরা, মধ্যশিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের লোকজন, শিক্ষা দপ্তরে যে নিয়োগ হয়েছে তাঁরা এমনি এমনি যুক্ত হয়েছে! এত কোটি কোটি টাকা যখন দুর্নীতি হয়, তখন কালিঘাট থেকে নবান্ন পর্যন্ত একটা দালালতন্ত্র তৈরী হয়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন