আবার সংঘাতের পথে রাজ্য-রাজ্যপাল। শুধু আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোতেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখ্যসচিব, অর্থসচিবকে ডেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, রাজভবন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজভবন সম্পর্কে নাবান্নের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর এই ভূমিকা অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলের বিরোধী। এর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী ছিলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোসের প্রধান সচিব। তাঁর ভূমিকা নিয়ে আপত্তি তোলে বিজেপি। সরাসারি নন্দিনীকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজ্যপালকে ভুল বোঝাচ্ছেন নন্দিনী।‘ এরপরেই, নন্দিনী চক্রবর্তীকে প্রধান সচিব থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে রাজি না হলেও, গতকাল বুধবার- নন্দিনীকে রাজভবনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর- নন্দিনী চক্রবর্তীকে পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, এই আবহে থেমে থাকছে না রাজভবন। প্রাক্তন প্রধান সচিবের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল।
আর, এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। তৃণমূল সাংসদ সান্তনু সেন বলেন, ‘সম্ভবত এখন তিনি (রাজ্যপাল) সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে শুরু করেছেন। আমরা আশা করি, তিনি তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবেন এবং নিজের চেয়ারের মর্যাদা রাখবেন। তবে, তিনি যদি রাজ্য প্রশাসনের সাথে ক্রমাগত সংঘর্ষের পথ বেছে নেন, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়ার ধরণও পরিবর্তন হবে।’
রাজ্য বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত ইচ্ছে হল- রাজভবনকে রাজ্য সরকারের একটি বর্ধিত শাখাতে পরিণত করা। কিন্তু, রাজ্যপাল যদি তা করার অনুমতি না দেন, তাহলে তিনি সরকারের রোষানলে পড়েন।’
এ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সার্ভিস রুল লঙ্ঘন হলে কোনও আমলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া সংবিধান অনুযায়ী হওয়া উচিত, কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার ভিত্তিতে নয়।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন