রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এক ব্যক্তি কীভাবে একইসঙ্গে মেয়র ও মন্ত্রী, দুই পদে থাকতে পারেন তা জানতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখলেন বোস।
রাজভবন সূত্রে খবর, চিঠিতে রাজ্যের সচিবালয়ের কাছে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, দুই পদে একসঙ্গে থেকে কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম? এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া অর্থের দাবিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচী পালনে রাজধানী দিল্লিতে থাকা ফিরহাদ যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বর্ষার মরশুমে রাজ্যে ঝোড়ো ইনিংস খেলছে ডেঙ্গু। গত একসপ্তাহে রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি। রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আমজনতার মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক, ভয়।
এবার রাজ্যের সেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলে একইসঙ্গে তাঁর দুই পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রবিবার সন্ধ্যায় নবান্নকে এই নিয়ে চিঠি লিখে বোস জানিয়েছেন, “রাজ্যে বাড়ন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারের তরফে পুরসভায় ফোন করে মেয়রের খোঁজ করা হলে সেখান থেকে বলা হচ্ছে, মেয়র নবান্নে আছেন। আবার নবান্নে ফোন করে খোঁজ নেওয়া হলে সেখান থেকে বলা হচ্ছে মেয়র পুরসভায় আছেন। পুরসভা ও নবান্নে খোঁজ না পেয়ে অনেকেই রাজভবনের পিস রুমে ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছেন। এমনকি অনেকে ‘মেয়র নিখোঁজ’ বলে বিজ্ঞাপনও দিতে চাইছেন।”
রাজ্যের সচিবালয়কে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, “একইসঙ্গে কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পদে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মেয়র ও মন্ত্রী, একইসঙ্গে দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন তিনি?” অবশ্য এই চিঠি নিয়ে পুরোপুরিভাবে না জেনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ফিরহাদ। তার বক্তব্য, “এই বিষয়ে আমি একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উত্তর দিতে রাজি আছি। কারণ, তিনিই আমায় একইসঙ্গে দুই পদের দায়িত্ব দিয়েছেন।”
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন