১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন?‌ ১৪ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব কলকাতা হাই কোর্টের

হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘১০০ দিনের কাজ আসলে গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তরা যাতে বঞ্চিত না হন তাও নিশ্চিত করতে হবে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকীছবি সৌজন্যে - নিউজক্লিক
Published on

‘রাজ্যে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ কেন?’- মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারকে প্রশ্ন করেছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে রিপোর্ট-সহ জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘১০০ দিনের কাজ আসলে গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তরা যাতে বঞ্চিত না হন তাও নিশ্চিত করতে হবে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। একইসঙ্গে, এই প্রকল্পের অর্থ সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে কেন্দ্রকে। আগামী ২০ জুন আদালতে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রকে। পরের এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাতে পারবে রাজ্য।’

সম্প্রতি, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতি। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেন, কাজ করার একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তাঁদের প্রাপ্য টাকা জবকার্ড হোল্ডারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে টাকা বন্ধের কারণ জানতে চায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। জবাবে, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, কেন্দ্রের পাঠানো ১০০ দিনের টাকা রাজ্যের মাধ্যমে খরচ হয়। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে কোটি কোটি টাকা কার্যত লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই গত কয়েক মাসের টাকা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের অবস্থানে কেন্দ্র সন্তুষ্ট হলে আবার টাকা পাঠানো হবে।

কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুলাই মাসে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in