তাপমাত্রা কমা নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উল্টে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।
সোমবার, এক সতর্ক বার্তায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৫দিন, অর্থাৎ ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দাবদাহ চলবে। তাপমাত্রা বাড়তে পারে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এমনকি, এই ৫ দিন রাজ্যজুড়ে শুষ্ক গরম হাওয়া বইতে পারে বলে সকলকে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
দাবদাহ থেকে বাঁচতে আগামী ৫ দিন রাজ্যবাসীকে কী কী করতে হবে সে কথাও জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
সোমবার, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবারের জন্য সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দুই দিনাজপুর, হাওড়া এবং হুগলির নাম। সোমবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (পুরুলিয়া)।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিন বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও অস্বস্তিকর আর্দ্র আবহাওয়া এবং গরম বজায় থাকবে। এমনকি, বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে। তবে, স্বস্তি ফিরবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমবে না শহরে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও দু ডিগ্রি বাড়তে পারে।
সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জারি করা হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
১। তীব্র তাপমাত্রা
২। সাধারণ মানুষ এই তাপ সহ্য করতে পারলেও যাঁদের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে বা যাঁরা গরম সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের সমস্যা হতে পারে।
৩। শিশু, বয়স্ক মানুষ, যাঁদের দীর্ঘকালীন রোগভোগ রয়েছে, যাঁরা দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থেকে ভারী কাজ করেন, তাঁরা অসুস্থ হতে পারেন।
৪। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে বা রোদে থাকলে গরম থেকে শরীরে ব্যথা, রেস বেরোতে পারে।
কী ভাবে সাবধান হবেন?
১। দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকা যাবে না
২। হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির জামা পড়তে হবে।
৩। বাইরে বেরোলে কাপড়, টুপি অথবা ছাতা দিয়ে মাথা ঢাকুন।
৪। তেষ্টা না পেলেও প্রচুর জল খেতে হবে।
৫। ওআরএস বা বাড়িতে তৈরি পানীয়— লস্যি, তোরানি, লেবু জল, ঘোল খাওয়া যেতে পারে।
৬। সরাসরি রোদে না থাকার চেষ্টা করা।
৭। ভারী কাজ দুপুরের দিকে, চড়া রোদে না করে দিনের যে সময়ে কম তাপমাত্রা রয়েছে, সেই সময়ে করা।
৮। বাইরে কাজ করলে বিশ্রামের সময় বৃদ্ধি করা। প্রয়োজনে কিছু ক্ষণ অন্তর অন্তর সামান্য বিশ্রাম নেওয়া।
৯। অন্তঃসত্ত্বাদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন